Ads

ফ্রিল্যান্সিং কি | নতুনদের জন্য উপযোগী ৩টি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস

Free Lance


ফ্রিল্যান্স (Freelance) শব্দটি Free এবং Lance দুটি শব্দের সমান্বয়ে তৈরি। ১৯০০ শতকের শুরু হতে এই শব্দটির প্রচার ও প্রসার বাড়তে থাকে।
ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো নির্দ্দিষ্ট  প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনো প্রকার চুক্তিবদ্ধ না হয়ে স্বাধীন ভাবে কাজ করে থাকে। এখানে তার কাজের কোনো নির্দ্দিষ্ট পারিশ্রমিক নাও থাকতে পারে, আবার ফুল টাইম বা পার্ট টাইম এ বিষযটি নির্দ্দিষ্ট নাও হতে পারে।
আরো সহজ ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে মুক্ত বা স্বাধীনচেতা একজন- যিনি বি​ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে নিজ দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন।
যেমন: ​একজন রাইটার যিনি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু কন্টেন্ট লিখে থাকে। তেমনি একজন লোগো ডিজাইনার কিছুদিনের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে লোগো ডিজাইন করে থাকে।
Free Lance

  • ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা

  • ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করার উপযোগী ৩টি মার্কেটপ্লেস
  • ফাইভার (Fiverr)
  • ফাইভার এর সুবিধা
  • পিপল পার আওয়ার (People Per Hour - PPH)
  • একটি ভালো আওয়ারলি (Hourlie) এর বৈশিষ্ট্য
  • আপওয়ার্ক (Upwork)
  • আপ​ওয়ার্ক (Upwork) এ কাজ করার কিছু নিয়মাবলী
  • ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা

  • একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার পচ্ছন্দের কাজ বেছে নেয়, এক্ষেত্রে কেউ তাকে জোর করে কোনো কাজ চাপিয়ে দিতে পারে না।
  • আপনি কত পারিশ্রমিক মূল্যে কাজ করবেন এটা অনেক সময় আপনি নিজেই নির্ধারন করে থাকেন। 
  • আপনি ফ্রিল্যান্সিং যেকোনো সময় শুরু করতে পারেন। এর জন্য খুব বেশী কোনো পূর্ব প্রস্তুতি দরকার পরেনা। শুধুমাত্র আপনি কোন একটি নির্দ্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হলে ঐটা নিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন।
  • একজন ফ্রিল্যান্সার কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবে এটি সে নিজেই নির্ধারন করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে তার পূর্ণ ইচ্ছা স্বাধীনতা রয়েছে।
  • আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হলে আপনি নিজেই নিজের কাজের সময় নির্ধারন করবেন।  এখানে কাজের সময় নির্ধারনে স্বাধীনতা রয়েছে।
  • এককথায়, একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার কাজের ছক অংকন করে এবং নিজেই সেটি পরিচালনা করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা

  • অনেক বেশী প্রতিযোগীতা করে টিকে থাকতে হয়। বর্তমানে কেউ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইলে তাকে অনেক বেশী প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হতে হবে। কেননা, প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
  • একজন ফ্রিল্যান্সার যেহেতু তার পচ্ছন্দমত কাজ বেছে নেয়, তাই তার কাছে সবসময় কাজ নাও থাকতে পারে। 
  • বিভন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন ক্লায়েন্ট নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে। তাই সকলকে সমান ভাবে সন্তুষ্ট রাখাটা একটু কঠিন হয়ে পরে, অনেক বেশী চ্যালেঞ্জিং।
  • প্রথম কাজ পেতে হয়ত আপনার অনেক বেশী সময় লাগতে পারে এবং আপনার কাজের রেটও তুলনামূলক কম হতে পারে।
  • কিছু ভালো ক্লায়েন্ট বেজ তৈরি করা সময় সাপেক্ষ কাজ, এক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।

ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করার উপযোগী ৩টি মার্কেটপ্লেস

এখন আমি আপনাদেরকে জনপ্রিয় তিনটি মার্কেটপ্লেসের সাথে পরিচিত করাবো, যেগুলি থেকে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
মার্কেটপ্লেস
ফাইভার
পিপল পার আওয়ার
আপওয়ার্ক
প্রতিষ্ঠা সাল
২০১০
২০০৭
২০১৫
প্রতিষ্ঠাতা / সিইও
সাই উইনিগরি ও মিকা কফম্যান
জিনিয়স ত্রাসিভলো ও সিমস কিটিরিস
স্টিফেন ক্যাসরিয়েল
হেড অফিস
তেলাভিভ, ইসরাইল
লন্ডন, যুক্তরাজ্য
ক্যালিফোর্নিয়া
রেজিষ্টার ফ্রিল্যান্সার
নির্দ্দিষ্ট নয়
১.৫ মিলিয়ন
১২ মিলিয়ন
নতুনদের জন্য কতটা উপযোগী

ফাইভার (Fiverr)

Fiverr
ফাইভার একটি মাইক্রো -ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এবং বর্তমানে নতুনদের বা বাংলাদেশীদের কাছে সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়। 
আপনি যদি কোনো একটি নির্দ্দিষ্ট কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলেই ফাইভার এ আপনি আপনার সেবা প্রদান করতে পারবেন। 
ওয়েবসাইট : https://www.fiverr.com
কিভাবে ....
ফাইভার এ মোট আটটি ক্যাটেগরি রয়েছে এবং প্রতিটি ক্যাটেগরির মধ্যে আবার অনেকগুলি সাব-ক্যাটেগরি রয়েছে।

​ফাইভার এর প্রধান আটটি ক্যাটেগরি হচ্ছে-

  • ১. গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন
  • ২. ডিজিটলি মার্কেটিং
  • ৩. রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন
  • ৪. ভিডিও এবং এ্যানিমেশন
  • ৫. মিউজিক এবং অডিও
  • ৬. প্রোগ্রামিং এবং টেক
  • ৭. বিজনেস
  • ৮. ফান এবং লাইপ স্টাইল

প্রতিটি ক্যাটেগরির মধ্যে থাকা সাব-ক্যাটেগরিও অনেক। এর মধ্যে থেকে আপনার ক্যাটেগরি নির্ধারন করে আপনাকে কাজ শুরু করতে হবে। 

ফাইভার এর সুবিধা

  • এখানে এ্যাকাউন্ট তৈরি করা অনেক সহজ, যেকোন নতুন কেউ খুব সহজেই এখানে এ্যাকাউন্ট করতে পারবে। 
  • ফাইভার আপনার একটি স্টল বা দোকানের মত, যেখানে আপনি আপনার নির্ধারিত কিছু পণ্য বা সেবা সাজিয়ে রাখবেন, যেগুলিকে গিগ (Gig) বলা হয়। 

    একটি গিগ মানে, একটি কাজ যেমন: কি-ওয়ার্ড রিসার্চ।

    মনে করুন আপনি কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন। তাহলে আপনি এখানে আপনার এই সেবাটি বিক্রয় করতে পারেন, যার মূল্য হতে পারে (সর্বনিম্ন ৫ ডলার - সর্বোচ্চ ৯৯৫ ডলার)

    এই একটি সার্ভিসকেই আপনি আবার তিনটি প্যাকেজ (বেসিক , স্ট্যার্ন্ডাড ও প্রিমিয়াম)  করে সেল করতে পারবেন।
  • এখানে আপনি বায়ার বা ক্লায়েন্ট রিকোয়েস্টের মাধ্যমেও কাজ করতে পারবেন।
  • আপনি পেপাল বা পেওনিয়ার কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে আপনি খুব সহজেই একটি ফ্রি পেওনিয়ার প্রি-পেইড মাষ্টার কার্ড পেতে পারেন।
  • টাকা উত্তোলন প্রসেসিং ফি - প্রথম ২০ ডলার পর্যন্ত ১ ডলার এবং ২০ ডলার এর বেশী হলে  মোট  টাকার ৫% 
আপনি যদি একটু সময় দিয়ে ফাইভারে কাজ করতে পারেন তাহলে এটিই হতে পারে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর প্রথম ধাপ।

পিপল পার আওয়ার (People Per Hour - PPH)

People Per Hour
এই মার্কেটপ্লেসটিও অনেক জনপ্রিয় নতুনদের কাছে এবং এখানে আপনি আপনার কাজের যথাযোগ্য পারিশ্রমিক লাভ করতে পারেন।
ওয়েবসাইট : https://www.peopleperhour.com
ফাইভার এর মত এখানেও কিছু ক্যাটেগরি রয়েছে, যেখান থেকে আপনি আপনার পচ্ছন্দেরটি বেছে নিতে পারেন।

​পিপল পার আওয়ার এর প্রধান আটটি ক্যাটেগরি হচ্ছে-


  • ১. ডিজাইন
  • ২. রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন
  • ৩. ভিডিও, ফটো এবং অডিও
  • ৪. বিজনেস সাপোর্ট
  • ৫. সোশ্যাল মিডিয়া
  • ৬. সেলস এবং মার্কেটিং
  • ৭. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং মোবাইল
  • ৮. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এখানেও আপনি আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী সার্ভিস তৈরি করে রাখতে পারবেন, যাকে আওয়ারলি (Hourlie) বলে।
আপনি যতটা আকর্ষনীয় ভাবে এই সার্ভিস বা আওয়ারলি তৈরি করবেন ততটাই আপনার সেল বাড়বে।
এছাড়াও, এখানে আপনি বায়ারদের রিকোয়েস্টে কাজে বিড করতে পারবেন।

একটি ভালো আওয়ারলি (Hourlie) এর বৈশিষ্ট্য

  • আপনার আওয়ারলি এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে টাইটেল। আপনার টাইটেল স্পষ্ট, সহজে বোধগম্য এবং সুন্দর হতে হবে।
  • আপনার আওয়ারলি (Hourlie) এর বর্ননা অংশে আপনি বায়ারকে বিস্তারিত জানান যে, কেন তার এই সাভিসটি প্রয়োজন এবং এই সার্ভিস দ্বারা তিনি কিভাবে উপকৃত হবেন।

    আপনি যতটা বিস্তারিত ভাবে আপনরি সার্ভিস জানাতে পারবেন, এটি তত বেশী সেল হবে।
  • আপনি আপনার লেখারে মাঝে বুলেট পয়েন্ট , টেক্স মডিফায়ারস যেমন: বোল্ড ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার সার্ভিসটি আরো সুন্দর দেখায়।
  • আপনার আওয়ারলি (Hourlie) এর জন্য সুন্দর এবং ইউনিক ছবি ব্যবহার করুন। কেননা, একটি সুন্দর ছবি আপনার সার্ভিসটিকে আরো প্রানবন্ত করে তোলে ক্লায়েন্টের কাছে।
  • আপনি আওয়ারলি (Hourlie) তে এক্সট্রা এ্যাড-অনস  ব্যবহার করে, আপনার সেল বাড়াতে পারেন।
  • আপনাকে নতুন হিসেবে ১৫টি প্রোপোজাল ক্রেডিট দেয়া হবে।

আপওয়ার্ক (Upwork)

Upwork
অনেক বেশী জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য এখানে কাজ করাটা কিছুটা কঠিন হয়ে গেছে।
ওয়েবসাইট : https://www.upwork.com
বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে খুব কম সংখ্যক এ্যাকাউন্টকে কাজ করতে স্বীকৃতি দিচ্ছে আপ​ওয়ার্ক (Upwork)।
তবে আমার মতে যারা কিছুদিন কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেলেছেন তাদের ​আপ​ওয়ার্ক (Upwork) এ চেষ্টা করা উচিত।
​আপ​ওয়ার্ক (Upwork) এ আপনি মোট ১২টি ক্যাটেগরিতে কাজ করতে পারবেন, এগুলি হচ্ছে-

  • ১. ওয়েব, মোবাইল এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
  • ২. ডিজাইন ও ক্রিয়েটিভ
  • ৩. অ্যাডমিন সাপোর্ট
  • ৪. আইটি ও নেটওয়ার্কিং
  • ৫. রাইটিং
  • ৬. কাষ্টমার সার্ভিস
  • ৭. ডেটা সায়েন্স এবং অ্যানালিটিক্স
  • ৮. সেলস এবং মার্কেটিং
  • ৯. ট্রান্সলেশন
  • ১০. ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার
  • ১১. অ্যাকাউন্টিং ও কনসাল্টিং
  • ১২. লিগাল

আপ​ওয়ার্ক (Upwork) এ কাজ করার কিছু নিয়মাবলী

  • এখানে কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন ১০০% অনুমোদিত একটি প্রোফাইল। যেখানে সুন্দর করে আপনার নাম, আপনার দক্ষতা, বর্ননা, কাজের রেট এবং আপনার একটি ছবি দেয়া থাকবে।
  • আপওয়ার্কে আপনাকে এই প্রোফাইল নিয়ে বিভিন্ন কাজে বিড করতে হবে।
  • এখঅনে দুই ধরনের কাজ আপনি পাবেন, ১. আওয়ারলি এবং ২. ফিক্সড প্রাইজ
  • আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ৬০টি কানেক্টস (Connects) পাবেন, যা দিয়ে আপনি কাজে বিড করবেন। একটি কাজের জন্য সর্বনিম্ন ১টি - সর্বোচ্চ ৫টি কানেক্টস খরচ হবে।
  • আপওয়ার্ক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য আপনাকে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট থাকলেই হবে। সরাসরি আপনি ঐ এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন।

আমার মতামত

আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রেইনিং এবং ফ্রিল্যান্সিং প্রোফেশনে কাজ করছি। আমি মনে করি আপনারা যারা একদমই নতুন হিসেবে শুরু করতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত প্লাটফর্ম হচ্ছে ফাইভার (Fiverr)
কেন ...
১. সহজে এ্যাকাউন্ট তৈরি
২. নিজের দক্ষতা অনুযায়ী সার্ভিস প্রদান
৩. ছোট এবং অল্পপরিসরে সহজে কাজ পাওয়া
৪. বাংলাদেশ থেকে সহজেই টাকা উত্তোলন
​আপনারা যারা নতুন শুধুমাত্র তাদের জন্য বলছি- আপনি কি ফাইভার মার্কেটপ্লেসে নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান ?
তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করুন
ক্লিক করুন
আশা করছি, আপনারা যারা এখনও এই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না যে কিভাবে এবং কোথা থেকে শুরু করবেন, তারা অন্তত আর দেরী করবেন না, কাজ শুরু করবেন।
আপনাদের যদি আমার এই লেখাটি ভালো লেগে থাকে দয়াকরে আপনার সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এটি​ শেয়ার করুন এবং নতুনদের কে জানতে সুযোগ দিন।
আপনার যে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আপনি নিচে কমেন্ট করে বলতে পারেন, তবে দয়া করে এই পোষ্ট এ আলোচিত বিষয়েই​ কমেন্ট করবেন।
আপনাদের শেয়ার এবং কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।

SHARE

Author

Hi, I am HB Arif. I like to Study and Research things. I am interested in being creative Do you want your product, business, website or you to reach out to others? I can do this for you! I am SEO Consultant, SEO Specialist, SEO Auditor, SEO Thinker and Content Writer. If you are interested, please do not hesitate to contact me to discuss your project in detail and determine how my skills will positively contribute to your team.

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment